1. muhammadesapress@gmail.com : গ্রান্ড টিভি : গ্রান্ড টিভি
  2. live@grandnewsbd.com : গ্রান্ড টিভি : গ্রান্ড টিভি
  3. info@www.grandnewsbd.com : গ্রান্ড টিভি :
বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:১০ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
সাংবাদিক ফয়ছল আলম সংবর্ধিত দেশ ও মানুষের কল্যাণ সাধন হয় এমন সাংবাদিকতাই কাম্য: মিফতাহ সিদ্দিকী বিএনপি ক্ষমতায় গেলে সবাইকে নিয়ে কল্যাণমুখীরাষ্ট্র গঠনে কাজ করবে, খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির দাউদপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি বাহার দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বিএনপি’র আদেশ স্থগিত ৭ নভেম্বর তোয়াকুল ইউনিয়নের ফুলতৈলছগাম শিক্ষা উন্নয়ন পরিষদ কর্তৃক পাঠ্যসূচি মেধাবৃত্তি পরীক্ষা ২৩ ও ২৪নং ওয়ার্ডে মতবিনিময়কালে খন্দকার মুক্তাদির আমরা শৃঙ্খলাবদ্ধ ও আধুনিক সিলেট গড়তে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সুপ্রীম কোর্টের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এডভোকেট সাইফ উদ্দিন রতনকে অভিনন্দন সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে ধলাই ব্রিজ রক্ষায় যৌথবাহিনীর অভিযান বিএমজেএ সিলেটের সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ সিলেট খাদিমপাড়ায় জাল দলিল তৈরি করে জমি দখল হজরত শাহজালাল রহ. শিলালিপি ও রাজকীয় ফরমান সমীক্ষা। ব্রেস্ট ক্যান্সার সচেতনতায় সিলেটে সেমিনার ও প্র্যাকটিক্যাল ডেমনস্ট্রেশন অনুষ্ঠিত

হজরত শাহজালাল রহ. শিলালিপি ও রাজকীয় ফরমান সমীক্ষা।

প্রতিনিধির নাম :
  • প্রকাশিত: সোমবার, ৩ নভেম্বর, ২০২৫
  • ২৭ বার পড়া হয়েছে

সুলতানুল আউলিয়া হযরত শাহজালাল রহ. পান্ডুয়ার চিল্লাখানার শিলালিপি ও সিলেটের দরগাহ শরীফে উরস উদযাপন উপলক্ষে নবাবী আমলে প্রদত্ত সরকারী আদেশ পর্যালোচনায় দেখা যায়, পান্ডুয়ার জামে মসজিদ (১৬৬৪ সালে মেরামত করা হয়) এর এক পার্শ্ব লিখা আছে, ইহা হজরত শাহজালাল রহ. এর ভবন, যা হজরত শাহ নেয়ামত উল্লাহ মেরামত করেছেন। বারদুয়ারি দরগাহের নাম ফলকে চিল্লাখানা হিসেবে উল্লেখ রয়েছে। আবার লক্ষণ সেনি দালানকেও হজরত শাহজালাল রহ. এর আস্তানা বলা হয়েছে ।বাংলাপিডিয়ার সূত্রে জানা যায়, পান্ডুয়ার দেওতলাতে হজরত শাহজালাল রহ. ও তাঁর শিষ্যরা দীর্ঘদিন চিল্লাকশি, আধ্যাত্মিক সাধনা ও ধর্ম প্রচার করেছেন, যা মহাম্মদ শাহ তুঘলকের সভাকবি আমির খসরু বর্ণনা করেছেন। ফলে সেখানে মুসলমানদের সংখ্যা দিন দিন বাড়তেছিল এবং চতুর্দিকে দরবেশদের সুখ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছিল। হজরত শাহজালাল রহ. ও তাঁর সংগীদের সুখ্যাতি ও সুনাম চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ায় ততকালীন শাসকগণ বিভিন্ন সময়ে পান্ডুয়ার/ দেওতলার মসজিদ, খানকা ও লংগরখানা পরিচালনার জন্য সরকারী সম্পত্তি ওয়াকফ করে দেন। একই চর্চা সিলেটেও পরিলক্ষিত হয়। হজরত মুহাম্মদ ইবনে বতুতা রহ. এর রিহলার বর্ণনামতে হজরত শাহজালাল রহ. এর সময়ে সিলেটের দরগাহ শরীফে দান, সদকা-মান্নত ইত্যাদি দিয়ে মুসাফিরখানা ও লংগরখানা পরিচালিত হত। শায়খ এসবের কিছুই ব্যবহার করতেন না। তিনি সর্বদা রোজা থাকতেন এবং কেবল তাঁর গৃহপালিত একটি গাভীর দুধ পান করে সেহরি ও ইফতার করতেন। পান্ডুয়া/দেওতলার ন্যায় সিলেট বিজয়ের পরে সিলেট ও এর নিকটবর্তী অঞ্চল বাংলা, আসাম, ত্রিপুরা, মিজোরাম, বিহার এবং পশ্চিমবংগে হজরত শাহজালাল রহ. এর দরবেশ বাহিনী ধর্ম প্রচারে আত্মনিয়োগ করেন এবং এক সময়ে পাহাড়ের চূড়া, কোথাও কোথাও নদীর তীরে চিল্লাখানায় সাধনায় নিমগ্ন হয়ে ওফাত লাভ করেন। সাধারণত পীর-দরবেশদের কবর /আস্তানাকে মাজার- মোকাম বললেও পান্ডুয়া / দেওতলার চিল্লাখানাকেও দরগাহ বলে। আর সিলেটের হজরত শাহজালাল রহ. এর মাজার শরীফ দরগাহে হজরত শাহজালাল রহ. নামেই পরিচিত। এছাড়া উভয় দরগাহর কর্মসূচীও মসজিদ -মাদ্রাসা, লংগরখানা ইত্যাদি অনুরূপ। উভয় স্থানেই হজরত শাহজালাল (রহ .) ও তাঁর শীষ্যদের চিল্লাখানার বাস্তব নমূনা/ নিশানা বিদ্যমান রয়েছে। পান্ডুয়া/ দেওতলার কিছু কিছু শিলালিপিতে সুস্পষ্টভাবে শাহজালাল বা শাহজালাল মুহাম্মদ লিখা আছে । সবকিছুতে এত মিল/প্রমাণ থাকার পরেও পান্ডুয়া/দেওতলার লোকজন এখনো শাহ জালাল তাবরিজী (রহ.) এর মাজার খুঁজিয়া পাচ্ছে না। কারণ, তারা মনে করছে সিলেটের হজরত শাহজালাল (রহ.) হচ্ছেন ইয়েমেনি তিনি তাব্রিজি নন। অথচ এই ইয়েমেনি জন্ম পরিচয় নিয়ে মিথ্যা বর্ণনা স্বার্থান্বেষী মহল তৈরী করার কারণে জগৎশ্রেষ্ঠ এই অলি আল্লাহর জীবন বৃত্তান্তকে বিভ্রান্ত করে ইতিহাসের এক লজ্জাজনক অধ্যায়ের সূচনা করেছে। কিন্তু যারা দূর্ভাগ্যজনকভাবে হজরত শাহজালাল (রহ.) এর ভুল করে লিখা ইয়েমেনি পরিচয় নিয়ে বাড়াবাড়ি করেছেন, তারা কি জানেননা মহান এই অলি আল্লাহর জীবনী মসজিদের মিম্বরে বসে আলেমগণ নসীহত করেন? হাজারো ওয়াজ মাহফিলেও বক্তাগণ হজরতের জীবনী আলোচনা করে থাকেন। এই ইয়েমেনি প্রসংগে ড. তুতিউর রহমান তার গবেষণা গ্রন্থ সিলেটের ধর্মজীবন ও সমাজবীক্ষণ ১৯২ পৃষ্ঠায় উল্লেখ করেন, সুহেল-ই-ইয়ামন (১৮৫৮) নামক গ্রন্থেই প্রথম তাঁকে শাহজালাল ইয়ামনি বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি তার উক্ত গবেষণা গ্রন্থের ২৭৫ পৃষ্ঠায় উল্লেখ করেন, দেশে বরেণ্য পন্ডিত ড. মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ হজরত শাহজালাল রহ. এর ইয়েমেনি আইডেন্টিটিকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। এছাড়াও এ. জেড. শামসুল আলম, ড. আব্দুল করিম, সুখময় মুখোপাধ্যায়সহ গবেষক / ঐতিহাসিক/ পন্ডিতগণ তাঁর আগমনের (১৩০৩/১৩০৪ খ্রি.) ৫৫৬ বছর পরের এই পরিচয়কে প্রত্যাখ্যান করেছেন। কিছু লেখক সরলতা বশতঃ ইয়েমেনি পরিচয় ব্যবহার করলেও তারাও তাঁর তাব্রিজি বা কুনিয়াভী পরিচয়কে অত্যন্ত সচেতনভাবেই স্বীকার করে নিয়েছেন। কিন্তু আফসোস! তারা দুই হাজার মেইল দূরের ইয়েমেন আর তাব্রিজকে কিভাবে এক করে দেখলেন ? স্বভাবতই মহান এ অলি আল্লাহর সময়কার ঐতিহাসিক / লেখক/ গবেষক, তাঁর শিষ্যগণ, নিকটবর্তী সময়ের রাজা-বাদশাহগণই নিঃসন্দেহে তাঁর সঠিক পরিচয় জানেন। এক্ষেত্রে হজরত শাহজালাল রহ. এর পবিত্র দরগাহে সিলেটের নবাবী আমলের বিভিন্ন সময়ের শাসকদের অনুদান মঞ্জুরীর আদেশ পর্যবেক্ষণেও দেখা যায়, যতগুলো আদেশের কপি হযরত শাহজালাল রহ. দলিল ও ভাষ্য বইয়ে উল্লেখ রয়েছে, কোন আদেশেই হজরত শাহজালাল (রহ.) কে ইয়েমেনি উল্লেখ করা হয়নি। সুতরাং, যে মহান অলি আল্লাহর জীবনী মসজিদের মিম্বরে/ হাজারো ওয়াজ মাহফিলে আলোচনা করা হয়, অবশ্যই তাঁর সঠিক পরিচয় ও জীবন বৃত্তান্ত আলোচনা আবশ্যক। কারণ কোন ব্যাক্তির জন্ম পরিচয়/ বংশ পরিচয় ভুলভাবে উপস্থাপনের ক্ষেত্রে আল্লাহ পাক কঠোর শাস্তি ঘোষণা করেছেন, যার সীমা লংঘন মুসলমানকে বিপজ্জনক পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারে। সুতরাং, উপরুক্ত আলোচনায় আমরা এ সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারি যে, সিলেটের মহান অলি আল্লাহ হজরত শাহজালাল (রহ.) ই দেওতলা/ পান্ডুয়ার শাহ জালাল তাব্রিজি (রহ.) এবং তিনি তাব্রিজ/কুনিয়ায় জন্মগ্রহণকারী সুলতান জালালুদ্দিন মোহাম্মদ খোয়ারিজম শাহ। এ বিষয়ে আমরা ইতোপূর্বে আরো আলোচনা করেছি। পরিশেষে, মহান আল্লাহ পাক আমাদেরকে সরল সঠিক পথে পরিচালিত করুন, তাঁর কাছে সর্বদা এ প্রার্থনাই রইল। আমীন, বিহুরমাতি সায়্যিদিল মুরসালিন।
সূত্র: ০১। রিহলায়ে ইবনে বতুতা পৃ:-৪৫৯-৬২, ০২। হযরত শাহজালাল রহ. দলিল ও ভাষ্য ০৩। হজরত শাহজালাল ও তাঁর সফর সংগী সিলেটের ধর্মজীবন ও সমাজ বীক্ষণ। ০৪। বাংলাপিডিয়া হজরত পান্ডুয়া।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট