তিনি ১৯৮৭ সালের ১৭ডিসেম্ভর শাহজালাল শাহপরান ও ৩৬০ আউলিয়ার পূর্ণ ভুমি সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলার ৫নং দক্ষিণ শাহবাজপুর ইউনিয়নের শরীয়াহ গ্রামের জমিদার বাড়িতে জন্ম গ্রহণ করেন।
যা এলাকা বাসির কাছে খন্দকার বাড়ি নামে সু পরিচিত।
তিনি প্রায় এক হাজারের বেশি কবিতা লিখেছেন, তার প্রকাশিত বই এর সংখ্যা পাঁচ টি তরুণ কন্ঠ, আলোকিত মানুষ প্রথম খন্ড,আলোকিত মানুষ দ্বিতীয় খন্ড ও আলোকিত মানুষ তৃতীয় খণ্ড, আপনার হাতে সোনার চাবি এস এফ মেথড মেডিটেশন সাইন্স নিয়ে ও একটি বই লিখেছেন,
তিনি সাইকোলজি নিয়েও বেশ গবেষণা করেছেন এ ছাড়া তার লেখা বেশ কয়েকটি বই প্রকাশের অপেক্ষায় আছে ।
জানা যায় কবি লেখক সাংবাদিক ও গবেষক খন্দকার সাহেদ হাসান, তৃতীয় শ্রেণী থেকে কবিতা লেখা শুরু করেন। এবং তার কবিতার সুনাম সিলেট বিভাগের সচেতন মহলের মানুষের মাঝে ছড়িয়ে পড়ে,এবং উনার লেখা কবিতা জাতীয় দৈনিক সহ দেশ বিদেশের বহু পত্র ম্যাগাজিনে প্রকাশ হয়েছে।
তিনি ২০০৭সালে সাপ্তাহিক বড়লেখা প্রত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার হিসাবে সাংবাদিকতা পেশায় সম্পৃক্ত হোন,
দৈনিক বাংলা ডাক সহ কয়েকটি প্রত্রিকায় লেখালেখি করেন।
এবং দীর্ঘ কয়েক বছর গবেষণা চালিয়ে তিনি ২০১২সালে ক্যান্সার রোগের ঔষধ আবিষ্কার করেন, ও তার ঔষধ খেয়ে তিন জন ক্যান্সার রোগী সুস্থ হয়ে পুনোরায় জীবন জাপান শুরু করে।
তখন তার এই প্রতিভার খবর চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে ২০১২সালের ৩ জুলাই দৈনিক মানব জমিন পত্রিকায় প্রকাশিত হয় বড়লেখায় ক্যান্সার রোগের ঔষধ আবিষ্কার করেছেন এক তরুণ ক্যান্সার বিজ্ঞানী খন্দকার সাহেদ হাসান, তার ঔষধ খেয়ে অনেক রোগীরা পুনোরায় জীবন জাপান শুরু করেছে। তখন বিভিন্ন নাম্বার থেকে তার মোটো ফোনে একাধিক ফোন আসে তাকে হাম/লা, মাম/লা, গ্রে/ফ/তার, ও হ/ত্যা/র হুমকি দেওয়া হয়, তখন তিনি দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান।
এবং ২০১৬ সালে তার কয়েক জন ঘনিষ্ঠ বন্ধু নিয়ে বাংলাদেশ আলোকিত পার্টি নামে একটি রাজনৈতিক দল গঠন করেন,এবং তিনি একাধিক বার বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে যান দল রেজেস্টেশনের জন্য আবেদন করেন দলের উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করেন কিন্তু দেশে আওয়ামী লীগ সরকারের এক দলীয় শাসনের কারণে বেশি দূর এগিয়ে যেতে পারেননি।
তিনি ১৯৯৩ সালে আপন গুত্রের লোকজনের সাথে জমিজমা সক্রান্ত বিরুদ্ধ নিয়ে বিশ্বাস ঘা/ত/কতার শিকার হয়ে প্রিয় জন্মভুমি শরীয়াহ গ্রাম ছেড়ে সহপরিবারে বড়লেখা সদর ইউনিয়নের হিনাইনগর গ্রামে স্হায়ী ভাবে বসবাস শুরু করেন।
তখন কবি খন্দকার সাহেদ হাসান, তার ছোটো বেলার খেলার সাথীদের হারান এতে কবি তার মনে খুব বেশি কষ্ট পান এবং অনেক টা মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েন।
প্রিয় জন্ম ভুমির মায়া তার হৃদয় কঠিন আঘাত দেয়।
কবি খন্দকার সাহেদ হাসান এর ছদ্মনাম কবি অনুতপ্ত সাগর।
তার পারিবারিক পরিচিত তার পূর্ব পুরুষ খন্দকার সুলতান সাদী, নামের এক সূফী দরবেশ ১৭৯০সালে সৌদিআরব তাবু শহর থেকে ইসলাম প্রচারের জন্য আসেন বড়লেখা উপজেলার ৫নং দক্ষিণ শাহবাজপুর ইউনিয়নের অফিস বাজারের পূর্ব উলুখান্দি এলাকায় তখনকার সময় এই এলাকা ছিল উলুসনের পাহাড় ও হিন্দুদের আদিপত্ত প্রভাব বিস্তার,
এই এলাকায় শ্রী শ্রী ব্রাহ্মণ্য ঠাকুর অমৃত রাজা নামক এক জমিদার, তার এক মাত্র মেয়ে শ্রী শ্রী শীলারাণী ব্রাহ্মণ্য কে বিবাহ করেন খন্দকার সুলতান সাদী, ও তারা সহ পরিবারে খন্দকার সুলতান সাদীর কাছে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন।
তখনকার সময় এই এলাকায় খন্দকার সুলতান সাদী শরীয়াহ আইন চালু করেন, তার পর থেকে গ্রামটি শরীয়াহ নামে পরিচিতি লাভ করে।
এবং কিছু লোক শরীয়াহ আইন মানতে অনীহা প্রকাশ করে, তার জের ধরে হরিয়া নামের একটি পাড়ার সৃষ্টি হয় তা থেকে শরীয়াহ ও হরিয়া নামের নতুন দুইটি পাড়ার সৃষ্টি হয়।
১৮৫২ সালে খন্দকার সুলতান সাদী মৃ/ত্যু বরণ করেন তাকে পারিবারিক গুরুস্হানে দাফান করা হয়,
পরে ঐ গুরুস্থান টি দরগা টিলা নামে পরিচিতি লাভ করে।
ব্রাহ্মণ্য ঠাকুর অমৃত রাজার ছিলো শাহবাজপুর অঞ্চলে ৩৬৫ হাল ও বিয়ানীবাজার বাড়ুদা এলাকায় ছিলো ৭৮৩ হাল সম্পদ তার,
তিনি জীবিত থাকা অবস্থা্য দুই ছেলেকে সম্পদ ভাগ করে দেন এক ছেলে বাস করেন বিয়ানীবাজার উপজেলার বাড়ুদা এলাকায় ডাঃ মতিউর রহমান বেন্দা চৌধুরীর পরিবার,যা খন্দকারের পরিবর্তে বৃটিশ সরকারের চৌধুরী উপাধি ব্যাবহার করে আসছেন,
শরীয়াহ গ্রামে বসবাস করেন, খন্দকার মিতন মিয়া চৌধুরী সরপঞ্চ ও খন্দকার আব্দুল মুতলিব জমিদার এর পরিবার বৃটিশ সরকার খন্দকার আব্দুল মুতলিব কে চৌধুরী উপাধি প্রদান করে কিন্তু পরিবারের অনেকে গ্রহণ করলেও তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন।
ইতি মধ্যে কবি খন্দকার সাহেদ হাসান ভারত, নেপাল, ডুবাই, ইটালি জার্মান সুইজারল্যান্ডে সহ বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশ ভ্রমণ করেছেন। তিনি বর্তমানে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে স্থায়ী ভাবে বসবাস করেন।
শুধু কবি খন্দকার সাহেদ হাসান নয় এভাবে বাংলাদেশের আনাছে কানাছে বহু প্রতিভাবান লোক অযত্নে অবহেলায় ঝরে যায় আমাদের মাঝ থেকে ।
কবি খন্দকার সাহেদ হাসান এর পিতা ভাষা সৈনিক খন্দকার আব্দুল মালিক, মাতা সৈয়দা সমরুন বেগম।….