গত ৮ই জুলাই ২০২৫ ইং রোজ মঙ্গলবার দিবাগত রাত আনুমানিক ৯ ঘটিকায়
সিলেট নগরীর ৩ নং ওয়ার্ড সাগরদিঘীরপাড় ৫ নং রোড ১৯/৪ নং বাসার ভাড়াটে বাসিন্দা বিশিষ্ট সামাজিক ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব কাউন্সিল অব কনজিউমার রাইটস বাংলাদেশ সিআরবি সিলেট জেলা শাখার সভাপতি, সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন সিলেট জেলা শাখার সহ-সভাপতি মোহাম্মদ শরীফ আহমদ এর নিচ তলা বাসার বেড রুমের জানালা দিয়ে কাপড়ের ঝুড়িতে আগুন দিয়ে পরপর দুটি ঢিল ছুঁড়ে আতংক সৃষ্টি করলে বাসায় অবস্থানরত ভিকটিমের ২ মেয়ে বড় ভাইয়ের স্ত্রী ও ১ ভাতিজি রুমের ভেতরে আগুনের ধোঁয়া দেখে দ্রুত বাহিরে গিয়ে কান্না- চিৎকার দিয়ে প্রতিবেশীদের সাহায্য চেয়ে পাশের ফ্লাটে নক করলে কেউ জবাব না দেয়াতে তারা ২য় তলায় গিয়ে চিৎকার দিয়ে পাশাপাশি দুই ফ্লাটের সাহায্য চায়।এসময় বাড়িওয়ালার ভাগনে কিছু না বুঝে দ্রুত সকল ফ্লাটের মেইন সুইস বন্ধ করে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে, এতে অন্ধকার সৃষ্টি হয়।এরই ফাঁকে দূর্বৃত্তরা ফাঁকা বাসা থেকে লক্ষাধিক টাকা মূল্যের মালামাল নিয়ে চম্পট দেয়।এসময় মোহাম্মদ শরীফ আহমদ দম্পতি বাহিরে কাজে ছিলেন, বাবার সাথে কর্মস্হলে ছেলে ও ছোট মেয়ে ছিলেন।উপর তলার সবাই নিচে নামলেও কেউ আগুন নেভানোর চেষ্টা করেনি কারেন্টর আগুন বলে গুজব ছড়িয়ে দেয়, এতে আতংক বৃদ্ধি পায়।একই সময়ে বিপরীত বাসার মেইন গেটে দাড়িয়ে সিগারেট পানরত পানি ব্যবসায়ী আক্কাস আলীকে অনুরোধ করে কাতর সুরে আগুন নেভানোর সাহায্য চাইলে তিনি এগিয়ে আসেন নি।এরই ফাঁকে উক্ত গলির ২৮ নাম্বার বাসায় কোরআন শিক্ষা প্রদানরত অবস্থায় খবর পেয়ে গৃহিণী খাদিজা আক্তার সেলিনা দ্রুত বাসায় চলে আসেন এবং ভেতরে ডুকতে চাইলে উৎসুক জনতা তাকে মানা করেন এই বলে যে,বিদ্যুৎএর আগুন!কিন্তু নিজ বাসা ও ভবন রক্কার জন্য তিনি জীবনের ঝুকি নিয়ে ভেতরে গিয়ে আগুন নেভাতে সক্কম হন।তাকে সহযোগীতা করেন পাশের বাসার যুবক অনিক ও বাড়িওয়ালার ভাগনে ফরহাদ।এসময় আক্কাস আলী ও তার ছেলে রাফি দর্শকের মতো ডাইনিং রুমে দাড়িয়ে ছিলো বলে প্রত্যক্কদর্শীরা জানিয়েছেন।যদিও ঘটনাস্থলে অবস্থানরত কেউ ফায়ার সার্ভিস বা জরুরি জাতীয় সেবা ৯৯৯ নাম্বারে কল দেয়নি।এমনকি মহল্লা বাসীকেও জানায়নি। রাত ৯.২১ মিনিটে বাসার কেয়ারটেকার সেলি বেগমের মোবাইল কল পেয়ে গৃহকর্তা মোহাম্মদ শরীফ আহমদ জালালাবাদ আবাসিক এলাকায় নিজ ব্যবসা প্রতিষ্টান ফেলে বাচ্চাদের রেখে দ্রুত বাসায় ফিরে দেখেন আগুন নিয়ন্ত্রণে আসছে।তিনি সাথে সাথে জরুরি জাতীয় সেবা ৯৯৯ এ কল দিয়ে পুলিশী সহযোগিতা চান এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সিলেট জেলা স্টেডিয়াম ক্যম্পেও সহযোগিতা চান।কল দেয়ার বেশ সময় পর এএসআই রতন খান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনা স্হল পরিদর্শন করেন এবং ভুক্তভোগীদের জবানবন্দি নেন ভিডিও ধারণ করেন।ঘটনার প্রাথমিক ক্লু বাহির করতে গিয়ে গৃহ কর্তা ও প্রতিবেশীর বক্তব্য নেন।এরই ফাঁকে লামাবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ চৌকস এসআই আলী খান ঘটনাস্থলে এসে বিস্তারিত তদন্ত করেন ঘটনার ক্লু উদ্ধারে তাৎকনিক মোবাইল ফোন উদ্বারে এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্যের আলোকে পাশের বাসার যুবক রাফি(১৫),অনিক(২৫),ও ফরহাদ (২৬) কে অনেক জিজ্ঞাসাবাদ করলে রাফির বক্তব্যে অসংলগ্ন দেখা দিলে তাকে আটক করে নিতে চাইলে তার পিতা আক্কাস আলী মসজিদ সেক্রেটারি জালাল আহমদ, রুপন জায়গীর সহ উপস্থিত মুরব্বিদের হাতে-পায়ে ধরে ছেলেকে ছাড়িয়ে রাখতে কান্নাকাটি শুরু করে।এক পর্যায়ে উপস্থিত সবাইকে বুঝিয়ে পুলিশ তাকে নিয়ে যেতে চাইলে তার এক আত্মীয় আহাদ (২৫) উরফে আরাধন পুলিশের সাথে বাকবিতন্ডায় লিপ্ত হয় এবং তার পিতা দুদু মিয়া ও অনান্য আত্মীয়রা ক্ষেপে যায়।অবস্থা বেগতি দেখে জালাল আহমদ সাহেব নিজ দায়িত্বে বিষয়টি উভয় পক্ষকে নিয়ে সমাধানের চেষ্টা করবেন বলে পুলিশকে কথা দেন এবং পুলিশও এক সপ্তাহের সময় বেঁধে দিয়ে যায়।এসময় উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিল অব কনজিউমার রাইটস বাংলাদেশ সিআরবি সিলেট জেলা শাখা সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বাছিত রিমন, আল মাদিনা মডেল মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা ঈসা তালুকদার, সাংবাদিক মুরাদ আহমদ,সিলেট আলীয়া মাদ্রাসা শাখা ছাত্রদল সভাপতি হাফিজুর রহমান,রুপন জায়গীরদার, কাজী রফিক,আল আমিন,রফিক মিয়া,যুক্তরাজ্য প্রবাসী আবুল কালাম,সাজ্জাদ হোসেন ময়না,ফেরদৌস আহমদ প্রমুখ।এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সালিসি বৈঠক ও আইনী প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলে ভিকটিম মোহাম্মদ শরীফ আহমদ জানিয়েছেন।উল্লেখ্য যে,উক্ত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
প্রকাশ থাকে যে,বিলম্বে নিউজ প্রকাশ ভিকটিমদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তাজনিত কারণে।