সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার ১১নং লাউতা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডে জলঢুপ উত্তর পাড়িয়াবহর গ্রামের ভূমি খেকোরা জোরপূর্বক প্রতিবেশির জমি ব্যক্তিগত নিজ স্বত্ব মালিকানাধীন রাস্তায় তপশীল বর্ণিত ভূমিতে দিন-দুপুরে ও রাতের অন্ধকারে অনধিকার প্রবেশ করেছে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা ও জানা যায় যে, মৃত শুয়াইবুর রহমানের ছেলে ভূমি খেকো কাইয়ুম আহমদ প্রতিবেশি সাদিক হোসেন এপলুর পৈতৃক সম্পত্তি তার পরিবারে নিজস্ব চলাচলের পারিবারিক রাস্তায় ঢুকিয়ে অনধিকার ভূমিতে রাস্তা প্রসস্থ করছে।
কবি ও সাংবাদিক সাদিক হোসেন এপলুর ভূমির জায়গা সীমানা প্রাচীরে দীর্ঘদিন থেকে রাতে সীমানা নির্ধারণের পিলার তুলে ফেলে কাইয়ুম আহমদ এর আপন চাচাতো ভাই ভূমি খেকো মৃত সজ্জাদ আলীর ছেলে মাসুম আহমদ, মৃত সমস উদ্দিন কালার ছেলে সইফ উদ্দিন সহ অজ্ঞাতনামা আর ও ৪/৫ জনসহ এলাকায় চিহ্নিত পরধনলোভী ভূমি খেকো ও সন্ত্রাসীদের নিয়ে সাদিক হোসেন এপলু তপশীল বর্ণিত ভূমিতে অনধিকার প্রবেশ করে টিলা রকম ভূমি মাটি কাটা শুরু করে।
কবি ও সাংবাদিক সাদিক হোসেন এপলু লোকমুখে সংবাদ শুনে সিলেট থেকে সরজমিনে গেলে কাইয়ুম আহমদ গং-কে এহেন কার্য হতে বিরত থাকার জন্য বাধা নিষেধ প্রদান করেন।
বিবাদী- কাইয়ুম আহমদ গং বাধা নিষেধ না শুনে তারা সাদিক হেসেন এপলু উপর মারমুখী আক্রমণ করে এবং প্রাণে মারার হুমকি প্রদান করে, অকথ্য নোংরা ভাষায় গালাগালি করে। সাদিক হোসেন এপলু বিষয়টি স্হায়ীয় মুরব্বিয়ানগণকে অবহিত করেন।
মুরব্বিয়ানগণের কাছ থেকে কোন সমাধান না পেলে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত সিলেট এ ২৯/২০২৫ নং ফৌজদারী কার্যবিধি আইনে ১৪৪ ধারা জারি করেন।
আদালতের নির্দেশে বিয়ানীবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ -কে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে নির্দেশ প্রদান করেন এবং বিবাদী কাইয়ুম আহমদ গং কে আদালতে কারণ দর্শানোর নির্দেশ প্রদান করেন।
তপশীল বর্ণিত থানা -বিয়ানীবাজার, মৌজা পাড়িয়াবহর, জে এল নং – ১৪৩, এস, এ খতিয়ান নং – ৪৩৬, এস,এ দাগ নং- ৫৯২, পরিমাণ : ০.৮৭ একর ও দাগ নং ৫৯৩, পরিমাণ ১.০২ একর শ্রেণি বাগান রকম ভূমি এবং এস এ দাগ নং ৫৯১ পরিমাণ, ০. ৮০ একর শ্রেণি বাগান রকম ভূমি।
চৌহাদ্দ:উত্তরে- এপলুর -নিজ ও শরীকানগণের ভূমি।
দক্ষিণে – কবি ও সাংবাদিক সাদিক হোসেন এপলুর পরিবারের পূর্ব পুরুষে দানকৃত পাঞ্জেগানা মসজিদ।
পশ্চিমে-এপলুর- নিজ ও শরীকানগণ।
পূর্বে- বিএস – দাগ নং ৫১৬, ভূমিখেকো মৃত শুয়াইবুর রহমানের ছেলে কাইয়ুম আহমদ এর পূর্বপুরুষ সংখ্যালঘু মানুষের ভূমি জোরপূর্বক জবর দখল করেছে। এস.এ বর্তমান বি.এস ১/১ খতিয়ানে দৃশ্যমান।
কাইয়ুম আহমদ এর বাপ, চাচা ও চাচাতো ভাইরা পরধনলোভী এলাকায় জাল জালিয়াতি কাগজ করে বিভিন্ন সময় ভূমিখেকো মত জোরপূর্বক জায়গা দখল করে।
সাদিক হোসেন এপলু পরিবারের ভূমি কাইয়ুম আহমদের বাপ, চাচা -কে ভূমি দেখা শুনার জন্য দেওয়া হলে বর্তমানে ভূমি খেকো মত জোরপূর্বক জায়গা দখল করে।
বিয়ানীবাজার থানা জে এল নং ১৪৩, মৌজা পাড়িয়াবহর, খতিয়ান নং ২৪৮, এস.এ দাগ ৯৬, বর্তমান বি.এস দাগ ১১৭ জমি পরিমাণ ৪০ শতক চারা বাগান রকম জয়গা রোপন করা গাছ পালা বাঁশ কর্তন করিয়া চার সাপ্তাহ আগে একলক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা বিক্রয় করে।
লোক মুখে জানতে পারলাম, ভূমিখেকো কাইয়ুম আহমদ এর আপন চাচাতো ভাই মৃত আয়াজ আলী ছেলে জয়নাল উদ্দিন, মৃত সজ্জাদ আলী ছেলে মাসুম আহমদ, মৃত সমছ উদ্দিন কালা ছেলে সইফ উদ্দিনসহ কাইয়ুম আহমদ এর পূর্ব পুরুষদের পরিবারিক শিক্ষা হল, পরে জায়গা-সম্পত্তি জোরে বলে দখল করে নেওয়া তাদের পূর্ব পুরুষদের পরিবারিক পেশা ও নেশা।
এলাকার প্রবীণ মুরব্বীরা বলেন দাঙ্গাবাজ, জবর দখলবাজ লোক পরধনলোভী, ভূমি খেকো এলাকায় চিহ্নিত সন্ত্রাসী প্রকৃতি লোক হন তারা। মান সম্মানের ভয়ে তাদের বিরুদ্ধে এলাকার কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না,
পূর্ব পুরুষদের মত
ভূয়া জাল জালিয়াতি দলিল পর্চা সৃষ্টি করে ভূমি জবর দখল করা তাদের পেশা ও নেশা।
প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এর দৃষ্টি আকর্ষণ করে, এলাকাবাসী জোরালো দাবী জানান। মৃত শুয়াইবুর রহমানে ছেলে কাইয়ুম আহমদ, মৃত আয়াজ আলী ছেলে জয়নাল উদ্দিনরা সরকারি ১/১ খতিয়ানে ভূমি জায়গা তদন্ত সাপেক্ষে সঠিকভাবে দলিল যাচাই-বাছাই করে, ভূমি খেকো কাইয়ুম আহমদ গং এর পূর্ব-পুরুষদের আসল রুপ বের হয়ে আসবে সরকারের এনিমি ভূমি জোর পূর্বক আত্মসাৎ করে আছে। প্রশাসনের কাছে ভূমি খেকোদের বিরুদ্ধে সঠিক ভাবে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানু ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দাবী জানান এলাকাবাসীরা।
এই দিকে লোক মুখে প্রকাশ্যে শোনা যাচ্ছে বাদী- কবি ও সাংবাদিক সাদিক হোসেন এপলু-কে বিবাদী-ভূমিখেকো কাইয়ুম আহমদ গংএর আপন চাচাতো ভাই মৃত সাজ্জাদ আলী ছেলে মাসুম আহমদ ও তার ছোট ভাই জামিল আহমদ গং প্রানের মারা হুমকি ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হরানি করা হুমকি অব্যাহত রেখেছে।