মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫) বিকেল তিনটায় সিলেট বিভাগীয় গণগ্রন্থাগারে ইতিহাসবিদ ড. মুমিনুল হক একাডেমির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হলো ড. মুমিনুল হক অ্যাওয়ার্ড-২০২৫ প্রদান অনুষ্ঠান।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন কারী ও লেখক শরীফ আহমদ। অতিথিদের ফুল দিয়ে বরণ করেন কবি নাছরিন সুলতানা, ফাতাউর রহমান, নিয়াজ আহমদ ও আরাফাত মিয়া। লোকসংস্কৃতি গবেষক আবু সালেহ আহমদের সভাপতিত্বে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লিডিং ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ তাজ উদ্দিন। তিনি তার বক্তব্যে ইতিহাসবিদ ড. মুমিনুল হকের অবদানকে স্মরণ করে বলেন, এ ধরনের পুরস্কার নতুন প্রজন্মকে গবেষণা, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও শিক্ষা ক্ষেত্রে অনুপ্রেরণা জোগাবে। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রবীণ সাংবাদিক ও কলামিস্ট আফতাব চৌধুরী, উপসচিব ও লেখক শেখ ফজলে এলাহী, এবং অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা লে. কর্নেল (অব.) এম. আতাউর রহমান পীর। বক্তারা বলেন, এই অ্যাওয়ার্ড কেবল সম্মাননা নয়, বরং এটি সমাজ, সংস্কৃতি ও জ্ঞানচর্চার অগ্রযাত্রাকে আরও এগিয়ে নেবে। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন কবি ছয়ফুল আলম পারুল, লেখক ফাতাউর রহমানসহ অনেকে। তাদের পাশাপাশি অভিব্যক্তি ব্যক্ত করেন সংগীতশিল্পী ড. জহিরুল ইসলাম অচিন পুরি, লেখক-সাংবাদিক সেলিম আউয়াল, দেওয়ান মাসুদুর রহমান চৌধুরী, এডভোকেট ড. আবুতাহের চৌধুরী ও কথাসাহিত্যিক জসীম আল ফাহিম। এবারের ড. মুমিনুল হক অ্যাওয়ার্ড-২০২৫ এ বিভিন্ন বিভাগে মোট ১৮ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে সম্মাননা দেওয়া হয়। তারা হলেন— ১. লে. কর্নেল (অব.) এম. আতাউর রহমান পীর (শিক্ষা) ২. ড. জহিরুল ইসলাম অচিন পুরি (সিলেটি সংগীত) ৩. কবি ও বাচিক শিল্পী সালেহ আহমদ খসরু (কবিতা ও বাচিক শিল্প) 4. শেখ ফজলে এলাহী (সাহিত্য ও গবেষণা) ৫. লেখক-সাংবাদিক সেলিম আউয়াল (বাংলা সাহিত্য) ৬. দেওয়ান মাসুদুর রহমান চৌধুরী (ভ্রমণ কাহিনী) ৭. আয়েশা আহমেদ (উপন্যাস) ৮. ড. দিদার চৌধুরী (শিক্ষা) ৯. ড. আবুতাহের চৌধুরী (প্রবন্ধ সাহিত্য) ১০. জসীম আল ফাহিম (কথা সাহিত্য) ১১. শাহ মো. সফিনূর (সম্পাদনা) ১২. কাজী শাহেদ বীন জাফর (ছড়া সাহিত্য) ১৩. আলিম উদ্দিন চৌধুরী (সিলেটি সাহিত্য) ১৪. লতিফুর রহমান চৌধুরী রাকিব (কথা সাহিত্য) ১৫. আফতাব আল মাহমুদ (অনুবাদ সাহিত্য) ১৬. মোহাম্মদ মোছায়েল আহমদ (লোক সাহিত্য) ১৭. সাজন আহমেদ সাজু (কথা সাহিত্য) ১৮. ওবায়দুল মুন্সী (শিশু সাহিত্য) সম্মাননা প্রাপ্তরা সবাই এ স্বীকৃতিকে জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অর্জন বলে উল্লেখ করেন এবং তরুণ প্রজন্মকে সাহিত্য, সংস্কৃতি, গবেষণা ও শিক্ষাক্ষেত্রে অগ্রসর হওয়ার আহ্বান জানান। অনুষ্ঠান শেষে সংগীত পরিবেশন করেন ড. জহিরুল ইসলাম অচিন পুরি। সঞ্চালনা করেন ইতিহাসবিদ ড. মুমিনুল হক একাডেমির সাধারণ সম্পাদক মাসুদ করিম। এ আয়োজনকে কেন্দ্র করে সিলেটের সাহিত্য, সংস্কৃতি ও শিক্ষাঙ্গনের ব্যক্তিত্বরা একত্রিত হন। বক্তাদের মতে, ইতিহাসবিদ ড. মুমিনুল হক একাডেমির এ উদ্যোগ আগামী দিনে সৃজনশীল মানুষ গঠনে বড় ভূমিকা রাখবে।